রেনেসাঁ




রোদ
 
১।।
জানালার শিক সরু হতে হতে
দেশলাই কাঠি...
রোদ...আগুনের তুলো...
কাউকে মনে পড়ছে না আমার।।
কাউকে যেন মনে না পড়ে!

২।।
চক্ষে আমার বালি
চক্ষে আমার সোনালি সোনালি...
পর্দে মে রহেনে নহি দুঙ্গি
পর্দা কাগজের মত পুড়িয়ে আয় রোদ... আয় আয়...
বক্ষে আমার তৃষ্ণা-আ-আ

৩।।
রোদে চোখ পুড়ে গেলে
দৃষ্টি বেশি চকচক করে, স্পষ্ট হয়
আমি মর্গ দেখিনি
রোদ দেখেছি কিন্তু





সঙ্গীতে-এ-এ

ভুলবি কি রে হায়
                        
পারফিউম...
চাঁদের গুঁড়ো..
চোখের পাতা
বিকেলে
মিহিদানার মত
মিশে যাচ্ছে টপাটপ
আ-আকাশে...।

বসন্তের এই মাতাল সমীরণে

নির্জন অরণ্য।
লোমকূপ...
হাত... অস্পৃশ্যতর
ছুঁয়ে যাচ্ছে না, যাবে না কেউ ।
আরও
আরও আরও আরও একা

কবির মিথ্যে গান শুনি একা একাই

বাঁধিনু যে রাখি পরাণে তোমার

কলম ভাঙলেই
থার্মোমিটারের পারদ গড়িয়ে... ধোঁয়া
নিজেই ফাঁস ঘন করছি ...নিজের।
হে অনুপস্থিত, নিবটা ভেঙে দেবেন প্লিজ
হ্যাঁ, ওখান থেকেই


12 comments:

  1. "নিজেই ফাঁস ঘন করেছি ...."-পুরো আঠা জুড়ে শুয়ে আছি, ধরে আছি শ্রেষ্ঠ বুকতলে এইলেখা খানি, ....দারুণ লেগেছে কবিতাগুলো

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ অনেক। :-) :-)

      Delete
  2. ভালো কবিতা। বেশি বলা অনাবশ্যক।

    ReplyDelete
  3. সত্যই অসাধারণ লিখেছেন।

    ReplyDelete
  4. "আমি মর্গ দেখিনি
    রোদ দেখেছি কিন্তু"

    এটুকুই নিলাম।

    এ্যাপ্রোচ টাই আকর্ষন।

    ReplyDelete
  5. রেনেসাঁ , আপনার রোদ এবং বাঁধিনু যে রাখী চমৎকার লেগেছে।মূল ভাবনাসূত্র ও তার বিস্তার এবং পাঠকের জন্য তা পাঠিয়ে দেওয়া এই পুরো ভাবনাচলনটির উপস্থাপনা ভাল লেগেছে। রোদ কবিতাতে একটি মুক্তি-ভাবনার এই বিমূর্ত রূপারোপ চমৎকার।জানলার শিক সরু হতে হতে দেশলাই এবং রোদ আগুনের তূলো(আহা), অর্থাৎ নিজেও পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। তখন অবাধ জানলা।তখন কোন পিছুটান থাকবে না, কাউকে যেন না মনে না পড়ে। আর সে মুক্তিভাবনা জীবন মাখানো, জীবনের মধ্যেই, মৃত্যু নিয়ে শতাব্দীপ্রাচীন রোমান্টিকতা আধ্যাত্মিকতার থেকে দূরে সে এক অন্য আলো, অভিযাত্রীর চোখে লাগা, কবির দেখায় স্পর্শ করা, অন্য রোদ,মর্গ নিয়ে ভাবালুতা অস্বীকার করা মুক্তির আলো।নিবটা ভেঙে যাওয়ার পরেও, হ্যাঁ ওখান থেকেই। কেয়া বাত।ধন্যবাদ রেনেসাঁ ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ দাদা। :-)

      ভাল লাগল খুব। পড়লেন, মতামত জানালেন। ভীষণ মনভালো করছে।

      Delete