দীপ রায়

artist : kahlil gibran



যে চিঠির আপাতদৃষ্টে কোনো প্রাপক থাকেনা

বিহ্বলতায় কাতর অবুঝ দেয়াল, আকস্মিক
একটা বিষপানরত গালে নির্মম লক-
তুমিই নায়ক অথবা খলনায়ক কিন্তু অবশ্যই মোহাচ্ছন্ন ভূমিকা
জিবের লালায় মিশে যাচ্ছে পলেস্তারাখসা উদগ্রীব
অপার ডানা-জোড়া, উড়ে যাওয়ার মুহূর্তে যেন সাক্ষী, অপরাধী ডিসলোকেশন
পা মচকে গেছে, একটু পিছিয়ে গেলে
গোড়ালির নাগালে উড়ন্ত ধুলো , সাথে বিলম্বিত হাঁচি...
তবে হাঁচি এড়িয়ে যেতে হয় কেমনে তুমি জানো
কেননা এই মুহূর্তে তোমার ভাবনার ল্যান্ডস্কেপে
হাতছানি দিচ্ছে এক আকাশ উচ্চাকাঙ্খী নীল
অতএব, নীলের নিচে তুমি একাকী প্রহরী
গুনে নিচ্ছ সম্বল, বটুয়ায় জমানো মুদ্রা
যা যাত্রাপথে ছড়িয়ে দেবে ভেবে রেখেছো,
মোসান সিকনেসের পাপক্ষয় রোধ করতে।
গুনে নিচ্ছ মুদ্রা...
হিসেব কি মিললো? আদৌ হিসেব কি মেলে?
কী জানায় তোমার অন্তরাত্মা?
নাকি সবটাই হৃদয়ের গভীরতময় নিষ্প্রভ দেশলাই?
দেশলাই বলতেই মনে পড়লো শুকনো ত্বক
তোমার শুকনো ত্বকে শোভা পাওয়া আংশিক উধাও ক্যালিগ্রাফি
আমি দৃশ্যত গিলেছি যে সমারোহ,
লেনদেনের আঙ্গিকে টের পেয়েছি যার নিবিড় তেজক্রিয়তা...
তবু উদারতার খড়কুটো, তবু মনস্তাত্বিক রঙিন
কেননা এই চব্বিশ  পঁচিশ নম্বর লাইনের ভিতর জেগে আছে এক বিচ্ছিন্ন সেমিকোলন;
যে দীর্ঘ অপ্রাপ্তির মেঘে নিঃসংকোচে মিশিয়ে দিচ্ছে প্রকট ক্লোরোফিল ঘ্রাণ
ইতিমধ্যেই তুমি সামলে নিয়েছো তাক্ষণিক হিকাপ
কিছুক্ষনেই আকাশপানে উড়ে যাবে
আমি ঘাড় তুলে চোখ উঁচু , ঠাহর করতে চেষ্টা করবো স্মৃতিপথে,
"
সে ছিল আড়ম্বরহীন, অতিসাধারণ, আমাদেরই একজন"
এরপর ধীরে ধীরে ঘড়ির কাঁটায় পরিচিত গতিবেগ
চেনা শৃঙ্খলে কোনো বদল হবে না
শুধু মাঝেমধ্যে ক্ষনিকের অগোচরে থাকবে
ঘাড় বরাবর ক্ষত নিরাময়ের লুক আউট নোটিস...
কেই বা বলতে পারে, হয়তো প্রহর ছিনিয়ে ভূমিষ্ট হবে আরও এক ডানা-জোড়া,
সাথে সামিল হবে অদ্বিতীয় কক্ষপথ
হয়তো আজকের মতই চঞ্চল আরও কিছু ডাকটিকিটহীন শব্দ
আমি মুছে রাখছি ভাণ্ডারে ধুলোর আস্তরণ...

No comments:

Post a Comment