অনুপম মুখোপাধ্যায়





অনুপম।। কেটে দ্যায়

সলিড সপ্তাহ ১। ৭ দিন নয়
ফিদা-ফিদা বিস্কুট জলছবি
জলে পড়ে যায়
রবিবার সরে গেলে জলপরী। আসে
হুরীর পেচ্ছাপ নেই
রঙে রং মেশে
পুকুরে হাওড়ার ব্রিজ
Wrong এসে যায়
ভাষা-ভাষা ভাসা হয়ে
ছবি
অহো। প্রাণ
প্রাণনাথ। তারিখের
অপর নাম কী key


  

অনুপম।। কেটে দ্যায় 

যত ডাল। ছেঁটে দেবে
           ঠে
রোদে উ   যাব
তুলি নখ দেখে বুঝে নাও
কী ছবি। এঁকেছি
ঘাস। জলা। খোলা মাঠ
ঘাসজ্বলাখোলামাঠ
উঁচু। উঁচু দাগ
যত রাগি কেঁদে ফেলি
যত। কাঁদি
হাসি




অনুপম।। কেটে দ্যায়

১ তেষ্টা
জীবনে ২ বার পাচ্ছে নাঃ
বনের পর। একলা গাছ
পাশাপাশি
অনেক একলা গাছ
গাছকে। পেরিয়ে গেলে
১টা গাছ কাঁদছে
মালভূমির ধারেচলো
উপরনিচে
থাকি
বন ছাড়িয়ে
ড়া
দাঁ…….
শেষের শেষ মধু
খেয়ে। বাঁচি থাকি


19 comments:

  1. রোদে উ ঠে যাব টা দুর্দান্ত আইডিয়া। ভাষা ভাষা ভাসা হয়ে ছবি । রঙে রং মেশে। পুকুরে হাওড়ার ব্রিজ। WRONG এসে যায়। অদ্ভূত পরিণত অনুপম অস্থিরতা। বলেছিলাম না পুনরাধুনিক ঘুষি খেয়ে গতিজাড্যে চলে যাওয়ার মত অনুভূতি দিতে থাকে আমাকে। "কেউ কোনদিন আপনাকে সাঁটিয়ে ঘুষি মেরেছে একটা? হঠাত? এমনভাবে যে ঐ ঘুষির জোরে ভেঙে যাচ্ছে সব, চুরমার হচ্ছে, কিন্তু আপনি তখনও গতিজাড্য আর বিস্ময়ে নিস্তব্ধ? হয়েছে এমন কোনদিন? আপনার পুনরাধুনিক কবিতা আমাকে এমনি অনুভূতি দেয়, দিতে থাকে।" ঘুষিগুলো ভীষণ ভাল। সে আপনি যতই "খারাপ" কবিতা লেখার কথা বলুন।

    ReplyDelete
  2. ধন্যবাদ রেনেসাঁ

    ReplyDelete
  3. মুগ্ধতা। মুগ্ধতা। মুগ্ধতা।

    ReplyDelete
  4. এই লেখা পড়লে ১ তেষ্টা বারবার পায়...

    ReplyDelete
  5. নামকরণটিই ভরকেন্দ্র

    ReplyDelete
    Replies
    1. হেরে যায়নি বলছ?

      Delete
    2. তুমি জুড়ে যাওনি, এটাই ভরসা...,এটাই আশা

      Delete
  6. আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কিছু কবিতায় নাম দরকার হয় না. পাঠক ঠিক তার পছন্দমতো বসিয়ে নেয় নাম.তবু এ লেখায় ধরি নিচ্ছি— 'অনুপম||কেটে দেয়'-ই হল নাম, যাকে আদেও আলাদা অর্থে নামকরণ বলা ঠিক না.কারণ, এটি লেখারই একটা পার্ট. তিনটে লেখা নিয়ে আলোচনায় না গিয়ে এখানে কেবল প্রথমটাকেই হাইলাইট করছি(অতি সংক্ষেপে), যে লেখায় উঠে আসে ভাসা ভাসা দৃশ্য কোলাজ. এক জলে পড়ে যাবার ছবি. এই ছবি গোটা এক সপ্তাহের.অথচ, ৭ দিন ধরে সেই দৃশ্যানুভব সহজে মেটে না. ঠিক যেমন আমাদের জীবনেও একের পর এক পারিপার্শ্বিক দৃশ্য এসে লেপে দেয় সব, যেমন শেষে গিয়ে ভাবনার খেই হারাই, ঠিক তেমন—জীবনের ছোটবড় দৃশ্যময়তা জলছবিকে ডুবিয়ে দেয় জলে. তখন আমাদের স্মৃতির রং মেশে বিস্মৃতির রঙে. আর এটাই জীবন, যা অনেকটা সিন্দুকের মতো—অনেক কাটাকুটি, ঘষামাজার পর, অবশেষে যা খুলতে এক অদৃশ্য চাবির প্রযোজন পড়ে...

    ভাল লাগল

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ অর্পণ। অবিশ্যি এই ধন্যবাদ যে নিছক একটা ভুল হাওয়ার শব্দ, তুমি জানো।

      Delete
  7. পানিং নিয়ে কাজ হয়েছে প্রচুর। শ্রুতি এর প্রভাব কিনা জানি না তবে কিছু জায়গায় শ্রুতির কিছু স্টাইলের কথা মনে পড়ল। এক সময় মনে হল এ লেখায় কিছুই নেই, শুধু স্টাইল প্রদর্শন। আবার কখনও বা মনে হল আমি নিজের অজান্তেই ভাবছি, ভাবতে শুরু করেছি। এখন সেই ভাবনা টা এই অদ্ভুত স্টাইলের জন্য নাকি সত্যি ফুড ফর থট আছে সেটা বোধগম্য হয় নি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুধু শ্রুতি কেন! রামনিধি গুপ্ত, রবিবাবু, বিনয় মজুমদার, স্বদেশ সেন, এমনকি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস... অনেকের প্রভাবই আছে। অবিশ্যি আলাদা করে শ্রুতির কথা শুনে ভাল লাগল, কারন একটা ঘাট দেখে যদি অন্য ঘাটগুলোর নাম মনে না পড়ে, তাহলে বুঝতে হবে নদীতে জল বইছে না। ধন্যবাদ।

      Delete
  8. 'ভাষা-ভাষা ভাসা/ হয়ে/ ছবি'... অপর নাম কী key' শব্দকে এ রূপ নানা কোণ থেকে দেখা এবং এর যথার্থ ব্যবহারে কবিতা অন্যতর ভাষা পায়... এখানেও পেয়েছে । মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

    ReplyDelete
  9. bah! প্রথম টাই সবচেয়ে ভালো লাগলো। এখানে কিছু রুপ,কিছু দক্ষতা স্ট্যান্ড করেছে।

    কিন্তু same type বা কাটাকুটি style টা change করে আরও নতুন style দেখার ইচ্ছে রইল

    ReplyDelete