তুষ্টি ভট্টাচার্য



 
সেই বেঞ্চটা

কুকুরের মতো নাক টেনে তফাৎ খুঁজি -
অন্ধকারে জ্বলে ওঠে চোখ
একটা ফিকে হলুদের সঙ্গে লেবুর গন্ধ মিশিয়ে, 
গাঢ় সবুজের সঙ্গে টিয়াপাখির ঠোঁট মিশিয়ে
যে রঙ তৈরি হল তার নাম দিলাম উপমা 

সেই সময়ে পার্কের লম্বা গাছটার মাথায় সূর্য উঠে পড়ল
চোখ নিভে গেলে বুঝলাম সাতরঙের বৈশিষ্ট
 
অজস্র কিচিরমিচির নিয়ে দিন এলো ওয়াকিং স্টিকের হাত ধরে
দুটো দোলনা ভীষণ জোরে দুলে উঠলে
এক ঝাঁক প্রজাপতি উড়ে গেল রাগ করে

রঙ থেকে রঙ, চোখ থেকে চোখ ছিটকে উঠছে দেখেও
পার্কের কোণের বেঞ্চে এক জোড়া মাথা মিশে যেতে চাইছে।
  

12 comments:

  1. আপনি দেখলেন। আমরাও দেখলাম। একবার বাকে সেই পাভলভ ভর্তি পাগল আমাকে নাচায়, আমার ছুটি হয়ে যায় থেকেই আপনার কবিতা খোঁজার সূত্রপাত। কী পড়ছি এবং কেন পড়ছির থেকে দেখছি টা বেশি পোষ মানাত আমাকে। মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখতে চাই কবির চোখে এবং স্নায়ুতন্ত্রে। এই কবিতাটা ও যা যা দেখাল, দেখলাম। ছিটকে যাবার আগে মুখস্ত করে নিয়ে যাচ্ছি এই দৃশ্য , এই দৃষ্টান্ত। আমার এক বন্ধু আমাকে একবার আপনার লেখার সাথে পরিচয় করিয়েছিল প্রথমবার। তারপর একদিন পাভলভ। তারপর বাকের অপেক্ষা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. কী বলি বল তো! অনেক অনেক ভালবাসা রইল

      Delete
  2. ঐ উপমার জায়গাটায় যা লিখেছো, ওখান থেকে, ঐ ধ্বনিত চেতনা থেকে বেরিয়ে আসতে, তোমার মেনিকিউর নিয়ে লেখা কবিতাটা (বাক্ ১০১)মনে করতে হলো। আমার বেশ লেগেছে মাথায়, ..

    ReplyDelete
  3. রঙ নতুন পরিচয় পেল। উপমা। সূর্যের সাত রঙ ধরা দিল। আর যখন পার্কের কোণের বেঞ্চে যখন দুটো মাথা মিশে গেল, এলাকার হল, তখনই যেন সম্পূর্ণ হল বৃত্ত। ছবিটা ধরা পড়ল ফ্রেমে। কবিতার শরীর বেয়ে নেমে এলো ভালোলাগার স্নিগ্ধতা।

    ভালো লাগাটুকু এভাবেই জানাতে পারলাম তুষ্টিদি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এতটাই জানালে যে আমি মুগ্ধ

      Delete
  4. ন্যারেটিভ গোছের স্টাইল। খুব সরল । বিষেষ কিছু জাগরন হল না। তবে আহ এল না।

    ReplyDelete
  5. উফ... অসাধারণ।নৈরাশ্যের এলাকায় যে প্রেম আপনি অঙ্কন করলেন আমি অনুভব করছি " শুধুমাত্র কবিতার জন্য............" ।

    ReplyDelete