অর্ণব পণ্ডা




হাটবার

আলতো ছোঁয়ানো সেই বিরল শ্মশ্রু, তার পাশাপাশি
অনতিতরুণ এক নাপিতের হাসি ভীড়ে, হাটবারে
কোলাহলে ডুবে গেল... এবড়োখেবড়ো কিছু দরদাম
জমাট গুঞ্জন আর খাড়া রোদে ভাসমান আয়না!
সতেজ মোরগ তার রক্তাক্ত পালকসমেত কঁকিয়ে ফসকে গেল...
শিরা বেয়ে কিছুটা আঁধার! একটি তরুণী বধূ গ্রামীণ
তবু চড়া প্রসাধনে খুচরো বিনিময় করে হেসে ওঠে।
মাংসবিক্রেতার কোনও হুঁশ নেই, কুচো কুচো শব্দে চারদিক
সশস্ত্র হয়েছে বেশ, কেবল সে নাবিকের ধারালো ক্ষুরের
অন্য কোনও হাসির প্রচ্ছন্নে অনর্থক দীর্ঘ হয়ে গেল হাটবার।


খবর

বনে কে ট্রানজিস্টার বাজায় দুপুরবেলা!
এক ঝাঁক তীব্র আলো ঢুকে পড়ে আলোর প্রদেশে
বোজা পাতা খুলে যায়, স্নিগ্ধতার পত্রপুটে লেগে থাকে
নিবিড় ভয়ের ছায়া। এইভাবে, ঠিক এইভাবে পল্লবে
ইথার তরঙ্গ নিয়ে ছুঁয়ে গেল দূর শালবীথি...
তুমি তার সিঁথি ধরে চলে যাচ্ছ সাঁওতাল গ্রামে।
পাথুরে আড়াল চাও? আদিবাসী নারী, হাতে ক্রুশ:
এ বাড়ির রক্ষাকর্তা, ঢিবিতে প্রোথিত কাঠ,সদাপ্রভু।
বিবিধ তরঙ্গ দূরে ছড়িয়ে রয়েছে...হঠাৎ জিপের শব্দ
উড়ে যায় কাঠঠোকরা উড়ে যায় জরুরী সংবাদ
ধোঁয়াটে ইঁদুর আর সাদা খরগোশে লাগে তার প্রথম ঝলক!

2 comments: